শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া দীর্ঘদিনের পলাতক ও ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদিকে অবশেষে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই কয়েদির নাম মো. আমির হোসেন (৪৭)। তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর ২০২৫) রাতে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানা এলাকায় বিশেষ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত মো. আমির হোসেন স্পেশাল ট্রাইবুনাল মামলা নং-১৪/২২-এর একজন তালিকাভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আদালত কর্তৃক তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। কারাগারের নথিপত্র অনুযায়ী তার কয়েদি নম্বর ৮০০৭/এ। আমির হোসেন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।
জামালপুর র্যাব ক্যাম্পের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে যে ওই জেল পলাতক আসামি নালিতাবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছেন। এই
তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা দল তৎপর হয়ে ওঠে। আসামির সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করতে র্যাব আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে (২১:৩০ ঘটিকা) র্যাব-১৪, সিপিসি-১-এর একটি চৌকস দল নালিতাবাড়ী এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালায়। অভিযানের একপর্যায়ে ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই পলাতক কয়েদিকে আটক করতে সক্ষম হন তারা।
র্যাব-১৪-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে কারাগার থেকে পলাতক এবং আদালতের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের খুঁজে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আমির হোসেনের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো যে, অপরাধ করে কেউ পার পায় না।
অভিযান শেষে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ধৃত কয়েদি মো. আমির হোসেনকে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে থানা পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে, দীর্ঘ দিন পলাতক থাকা এমন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করায় স্থানীয় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং সচেতন মহল র্যাবের এই তৎপরতার প্রশংসা করেছেন।

