রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংহতি সমাবেশে তিনি বলেন, “রাস্তার মাঝে যেভাবে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তা কোনো সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ হতে পারে না।”
শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা ও ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদানের দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষকরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির জীবনযাপন করছেন, অথচ আমরা চাই তারা প্রথম শ্রেণির নাগরিক গড়ে তুলুন। এটা চরম বৈষম্য। বিদেশে শিক্ষাখাত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়, অথচ আমাদের দেশে সেটি সবচেয়ে অবহেলিত খাত হয়ে পড়েছে।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তারা আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, শিক্ষকরা কোনো করুণা নয়, বরং ন্যায্য অধিকার ও সম্মানের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ঢাকাসহ দেশের কোথাও ২,৫০০ টাকায় বাসা পাওয়া অসম্ভব। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, অথচ শিক্ষকরা একই বেতনে কষ্ট করে জীবন চালাচ্ছেন। তাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ বর্বরতা ছাড়া কিছু নয়। যারা শিক্ষকদের পেটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং গ্রেপ্তার শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।”
জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, “যে শিক্ষকদের ছাত্ররা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই শিক্ষকদের আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে অধিকার চাইতে হচ্ছে—এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার।” তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, “শেখ হাসিনা শিক্ষকদের দাবি বুঝতেন, তার কাছ থেকে শিক্ষা নিন। তাদের সঙ্গে টালবাহানা বন্ধ করে অবিলম্বে দাবি মেনে নিন।”
সমাবেশে বক্তারা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সব ধরনের অসদাচরণ বন্ধের আহ্বান জানান।




