শেরপুরের নকলা উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষণিক
হস্তক্ষেপে দুই শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধায় উপজেলার নকলা ইউনিয়নের ধনাকুশা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিয়ে বন্ধ হওয়া দুই কন্যার একজন অষ্টম শ্রেণিতে এবং অন্যজন ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে বাল্যবিবাহ দুটি বন্ধ করে দেয়।
এসময় নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থী দুজনের কেউই বিয়ের উপযুক্ত বয়সে পৌঁছেনি। এ অবস্থায় তাদের বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া গুরুতর অন্যায় ও আইনের পরিপন্থী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার বিষয়ে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাল্যবিবাহ একটি দণ্ডনীয় অপরাধ, তাই এ ধরনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা ও উপজেলাবাসীর সহযোগিতা চাই। বাল্যবিবাহের বিষয়ে প্রশাসনকে তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করুন। তথ্য দাতার নাম পরিচয় গোপন থাকবে।



