ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য গঠিত কমিটি নিয়ে আগেরবারই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। তখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তাদের মধ্যেও এ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার (আউয়াল) কমিশনের সময় তৈরি করা নীতিমালায় বলা হয়েছিল, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে উপজেলা পর্যায়ে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হবে, যার আহ্বায়ক থাকবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। জেলা পর্যায়ে গঠিত সাত সদস্যের কমিটি নেতৃত্ব দেবেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
উপজেলা কমিটি যে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরি করত, তা মহানগর বা জেলা কমিটিতে পাঠানো হতো। ওই কমিটি দৈবচয়নের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্রগুলোর সরেজমিন তদন্ত করে মতামত দিত। এরপর মতামতসহ তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠাতেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন) নতুন নীতিমালায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কমিটি বাতিল করেছে। ফলে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের দায়িত্ব এখন আবার ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হাতে ফিরে এসেছে, জানিয়েছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কত ভোটে এক কেন্দ্র ও কক্ষ বরাদ্দ?
নতুন নীতিমালায় আগের মতোই রাখা হয়েছে:
গড়ে প্রতি ৩,০০০ ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র
৫০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি কক্ষ
৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি কক্ষ
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল। এবারে ভোটার সংখ্যা পৌনে ১৩ কোটির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়তে পারে।

