Home » নকলা প্রেসক্লাব’র উন্নয়নে তারুণ্যের অর্জনে সর্বসাধারনের আস্থা

নকলা প্রেসক্লাব’র উন্নয়নে তারুণ্যের অর্জনে সর্বসাধারনের আস্থা

by desherpotrika
7 views

প্রচার প্রকাশনা উপ-কমিটি (নকলা প্রেসক্লাব), শেরপুর: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে আমাদের চারপাশ। বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর চিত্র। আমরা ক্রমশ ধাবিত হচ্ছি প্রযুক্তির নানা আবহে। প্রতিনিয়ত কত কিছু ঘটে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরকেও এগুতে হচ্ছে। নকলা প্রেস ক্লাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রবাহমান সময়কে ধারণ করেই সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। যার ফলশ্রুতিতে নকলা প্রেস ক্লাব পরিণত হয়েছে সংবাদপত্রসেবীদের আধুনিকতম একটি প্রতিষ্ঠানে।

আর তাইতো আমরা নকলা প্রেস ক্লাবকে আমাদের নিজস্ব ভুবন মনেকরি। ক্লাবের নিজস্ব গঠনতন্ত্র, ব্যাংক হিসাব (সঞ্চয়ী), সুসজ্জিত অফিস কক্ষসহ সবার জন্য র্নিধারিত চেয়ার, প্রতিজনের নামে ড্রয়ারসহ টেবিল ও কেবিনেট, টেলিভিশন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগসহ প্রতিটি আসবাবপত্র ও আঙিনা, পোশাক পরিচ্ছদ, প্রেস ক্লাবের নিজস্ব পরিচয়পত্র এবং আমাদের সকল কৃতকর্ম সবার মনকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। প্রেস ক্লাবকে আমাদের সকলের কর্মকান্ডের মাধ্যমেই সবার প্রিয় করে তুলতে সক্ষম হয়েছি বলে আমরা সবাই দাবী করতেই পারি। বিশ্বাস আমাদের সাথে সবাই ঐকমত্য পোষন করবেন। আমাদের মাঝে যেন কোন প্রকার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে বা যেকেউ যেন নকলা প্রেস ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রেস ক্লাবকে কলঙ্কিত করতে না পারে, সেদিক বিবেচনায় নকলার ইতিহাসে ক্লাবের নিজস্ব লোগো সম্বলিত অত্যাধুনিক পরিচয়পত্রে নাম, ঠিকানা, পদ-পদবী উল্লেখপূর্বক কিউআর কোড ব্যবহার করে একটি পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এতে করে নকলা প্রেস ক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দাতা কিছুটা হলেও রোধ হয়েছে বলে উপজেলাবাসী মনে করছেন।

সবার প্রিয় এ ক্লাবটি সংশ্লিষ্টদের পেশাগত উত্তরণের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ প্রচার-প্রসারে যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি বিনোদন, ক্রীড়া, বাৎসরিক ভ্রমন ইত্যাদির আয়োজন করে সংবাদকর্মীদের মানসিক উৎকর্ষ সাধন ও তাদের মনোজগতকে আনন্দময় রাখার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখছে। আগামীতে এ ধারাবাহিক কর্মসূচি আরো জোরদার করতে প্রেস ক্লাবের সবাই সর্বোচ্চ তৎপর থাকবেন বলে আমরা আশা করছি।

বর্তমানের ‘নকলা প্রেস ক্লাব’ সংবাদপ্রেমীদের প্রিয় সংগঠনে রূপান্তরিত হওয়ার একদমই শেষ প্রান্তে, এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করার কথা। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ঠ সকলের প্রাণের সংযোগ রয়েছে; এটা কারো অস্বীকার করার কোন প্রকার সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করিনা।

দীর্ঘদিন পরে হলেও সকলের একান্ত প্রচেষ্ঠায় এক জায়গায় বসে একে-অপরের সাথে ভাব বিনিময় করা তথা পরস্পরের মধ্যে হৃদতা সৃষ্টি হওয়ার সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলা-উপজেলায়। একে অপরের সাথে সম্পর্কের বন্ধন ক্রমশ সুদৃঢ় হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে এক অপরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও আন্তরিকতা। ভবিষ্যতে এর সুদৃঢ়তা ও পরিধি আরো বাড়বে বলে মনে করা খুবই স্বাভাবিক। প্রেস ক্লাবের সকলের সুবিন্যস্থ ও সুবিস্তৃৃত কর্মকান্ডের কারণে নকলা প্রেস ক্লাব এখন শুধু নকলার সংবাদকর্মীদের প্রতিষ্ঠান নয়, এটি সর্বসাধারনের বিশ্বস্থ ও প্রিয় প্রতিষ্ঠানের তালিকাতে স্থান করে নিয়েছে।

উপজেলার সংবাদসেবীদের গর্বের জায়গা ‘নকলা পরিণত হয়েছে ক্লাব’ আস্তে আস্তে বর্তমান অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। এরজন্য আমাদের সকল সাংবাদিক ভাইদের ধৈর্য্যরে সহিত অনেক মেধা, শ্রম, সময়, কষ্ট ও যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। এই পরিণত হয়েছে ক্লাবটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরের সুদীর্ঘ পথ পারি দিলেও অজ্ঞাত কারনে এর আগে কোন সুবিন্যস্ত অফিস ছিলোনা। ছিলো না প্রেস ক্লাব ও সাংবাদকর্মীদের উন্নয়নের কোন ছোঁয়া। আগে গঠিত কমিটি গুলোর নেতৃবৃন্দরা তাদের সর্বোচ্চ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পারিপার্শ্বিক পরিবেশগত কারনেই হয়তোবা সবার প্রিয় নকলা প্রেস ক্লাবের দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন কারো দেখার সুযোগ হয়নি। আর তাইতো সংগঠন পরিচালনার জন্য যুগোপযোগী গঠনতন্ত্র, নিয়মিত মিটিং ও রেজিউলেশন, ক্লাবের উন্নয়নে আবাবপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াধীতো ছিলো কল্পনার মাত্র। তাইতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করা উপজেলায় কর্মরত বস্তুনিষ্ট লেখক ও সংবাদকর্মীর একান্ত প্রচেষ্ঠায় এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নে দৃঢ় প্রত্যয়ী তরুণ সংবাদকর্মীসহ সকলের সদইচ্ছায় নকলার সংবাদপত্র জগতের ইতিহাসে জমকালো এক আয়োজনের মধ্যদিয়ে গোপন ভোটের মাধ্যমে একটি অবাদ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনের ১০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনারের নিকট থেকে দায়িত্ব বুঝেনেন নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। এর কয়েক দিনের মধ্যেই জমকালো আয়োজনে পরিচিতি সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠান করা হয়। যা নকলার সংবাদ ও সাংবাদিকতার জগতের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে থাকবে সবার হৃদয়ে।

এর পর থেকে আমরা অনেকের চোখের কাটা হয়েও ধৈর্যের সহিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে সামনের দিকে এগিয়ে চলা শুরু করি এবং চলছি। আর ধৈর্য্যরে একমাত্র কারন এই মেয়াদে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শ্লোগান ছিলো ‘আমরা সেরা হতে নয়, পরিবর্তনে বিশ্বাসী’। এই শ্লোগানকে মনেপ্রাণে ধারন করে সকলের সার্বিক পরামর্শে এবং সকল সংবাদকর্মীদের আন্তরিকতায় আমরা সেরা হতে না পারলেও, সত্যিই দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। যা সুষ্পষ্ট ও সকলের সামনে দৃশ্যমান এবং সর্বজন স্বীকৃত।

সকল কাঁটা ধন্য করে ফুল ফোটানোর মহান প্রত্যয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলছি। এ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়তোবা অনেকের দৃষ্টিতে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি ধরা পরতে পারে। তবে আমরা মনে করি কাজ করলে ত্রুটি হবেই, যে বা যারা কাজ করেননা তাদের কোন ত্রুটি হওয়ার সুযোগ নেই। তাদের কাজ বসে বসে শুধু গালগল্প করার পাশাপাশি পরচর্চা করা আরকি। তবে এটা সঠিক ত্রুটির তুলনায় সফলতা ও গুণের বিবেচনায় আমাদের উন্নয়ন মূলক পরিবর্তনের পরিমাণ পূর্বের দিন গুলোর চেয়ে হাজার গুণ বেশি; এতে কারো কোন প্রকার সন্দেহ থাকার কথা নয়।

নকলা প্রেস ক্লাবের এমন ইতিহাস গড়তে জেলা প্রেস ক্লাবসহ জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকগনের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, পৌরসভা, সিনিয়র সাংবাদিকগন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিসহ সর্বসাধারনের ভূমিকা ছিলো অতুলনীয়। তাদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার পাশাপাশি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে সর্বজন প্রশংসিত হলো- যেকোন অনুষ্ঠানে সবাই হুমড়ি খেয়ে ভিড় না করে পূর্ব মনোনিত ২/৪ জন উপস্থিত হলেই আমরা সবাই নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে খবরটা প্রচার ও প্রকাশ করতে পারি। যদিও আমাদের কম সংখ্যক উপস্থিতির বিষয়ে প্রথম প্রথম অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতো প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের উপস্থিতি কম কেন? কিন্তু পরে তাঁরা যখন দেখেন যে, প্রেস ক্লাবের সকল সাংবদিক অনুষ্ঠানে হাজির না হলেও, সবাই নিজ নিজ সংবাদ মাধ্যমে নিয়মিত খবর ঠিকই প্রকাশ প্রচার করেন। এর পরে কোন অনুষ্ঠানে আমাদের সকলের উপস্থিতি নিয়ে আর কোন প্রশ্ন উঠেনি এবং উঠার কথা নয়। আমাদের মধ্যে হৃদতা সৃষ্টির মতো এমন নজির অতীতের দিন গুলোতে হয়তোবা চর্চা হতো না। বর্তমানেও অনেক জায়গায় একে অপরকে খবরের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করার মনোভাবের যথেষ্ট অভাব লক্ষণীয়।

আমাদের কোন কাজেই যে ত্রুটি নেই বা ছিলো না, তা শতভাগ বড় গলায় বলতে পারছি না; তবে দেশ ও জাতির উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারন করে যেকোন কাজে আমাদের নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার কোন প্রকার অভাব ছিলোনা বা নেই, তা কিন্তু আমরা দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি। আর তাইতো আওয়ামী সরকারের পতনের পরে সারাদেশ ব্যাপী প্রায় সকল সাংবাদিক সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর হিড়িক পড়ে গেলেও নকলা প্রেস ক্লাব নিয়ে এমন কোন ঘটনার উদ্ভব হয়নি। এই সফলতার ক্ষেত্রে অনেক গুলো কারনের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সংস্কারপন্থি প্রিয় শিক্ষার্থী এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত এর নেতৃবৃন্দ আমাদের প্রতিটি নিরেপেক্ষ কর্মকান্ডের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন একটি। আমরা সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, কোন সাংবাদিক তদন্তকারী কর্মকর্তা নয়, নয় কোন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। সাংবাদিক কখনোই বিচারক নয়। তাদের কাজ শুধু কোথাও কোন অনুষ্ঠান বা ঘটনা ঘটলে তা জনসম্মুখে তুলে ধরা। আর আমরা ঠিক এমনটাই করেছি। আমরা নিজ নিজ কর্ম এলাকায় ঘটে যাওয়ার তথ্য নির্ভর সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে কখনোই কৃপণতা করিনা। ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থী এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত এর নেতৃবৃন্দের নিবির পর্যবেক্ষণ পরবর্তী আমাদের সকলকে নির্বিঘ্নে ও উন্মুক্ত ভাবে লেখালেখি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ায় তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, প্রেসক্লাব পরিবারের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ।

আমরা নকলার সাংবাদিকতার জগতে পরিবর্তন আনতে নতুন কমিটি গঠনের পরেই সাংবাদিকতায় পেশাগত উন্নয়নে তিন (০৩) দিনের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন পালন করে আসছি; তেমনি সাংবাদকর্মীদের সম্মানজনক স্থানে রাখতে চালিয়েছি নানান প্রয়াস। সাংবাদকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধি করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনোদন, ক্রীড়া, বাৎসরিক ভ্রমন ইত্যাদির আয়োজন করে সংবাদকর্মীদের মানসিক উৎকর্ষ সাধন ও মনোজগতকে আনন্দময় রাখার পাশাপাশি অনেকের পরামর্শে প্রেস ক্লাব অফিস কক্ষে একটি সমৃদ্ধ “বুক কর্ণার” স্থাপনে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। এই বুক কর্ণারের মাধ্যমে সংবাদ বা প্রতিবেদন লেখার কৌশলসহ বিভিন্ন আইন সম্পর্কেও জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রেস ক্লাবের বুক কর্ণারে শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরি প্রাপ্তিতে সহায়ক বই থাকায় তারা পাচ্ছেন সহজ ইন্টারভিউ সহায়তা। পড়তে পারছেন দেশী বিদেশী লেখকের অনেক বই। জানতে পারছেন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস। আমাদের সবার প্রিয় ক্লাবের নামে নিজস্ব লোগো সম্বলিত আকর্ষণীয় প্লেইট, জগ, মগ, কাপ-পিরিচ রয়েছে। এছাড়া নিজস্ব ক্লাবের পরিচিতি নিশ্চিত করতে সবাইকে দেওয়া হয়েছে নকলা প্রেস ক্লাবে নিজ নিজ পদ-পদবীসহ অত্যাধুনিক কিউআর কোড সম্বলিত পরিচয়পত্র। সর্বসাধারনের সুবিধার্থে প্রেস ক্লাবের সবার সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা জন্য ক্লাবের নামে রয়েছে একটি হ্যাল্প লাইন নম্বর। এসবের অনেক কিছুই আমাদের বিভাগের কোন প্রেস ক্লাবে আছে কিনা তা অনেকেরই অজানা। এমনকি নকলার ইতিহাসে আমাদের প্রেস ক্লাবের প্রতিটি সাংবাদিক ভাইকে ক্লাবের নিজস্ব লোগো সম্বলিত ভালো মানের কটি ও দুই অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুইবার উন্নত কাপড়ের এটি করে দুইটি পাঞ্জাবী উপহার দেওয়া হয়েছে; যা সচরাচর কোন প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে এমন নজির ঘটানো সম্ভব হয়নি। এমন প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠা ও সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আর সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেতে চাই ঐকব্ধতা, যা আমাদের মধ্যে সুস্পষ্ট। ভবিষ্যতে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি। আশার বিষয় হলো- নকলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র্রে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়ক সংলগ্ন দেড় (১.৫০) শতাংশ জমি নকলা প্রেস ক্লাবের নামে সাবকওলা মূলে রয়েছে। এই জমি চিহৃত করে তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার করা এবং সেখানে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে আমাদের একান্ত প্রচেষ্ঠা কাম্য হওয়া উচিত বলে মনে করছি।

নকলা প্রেস ক্লাবকে আরো গতিশীল করতে সদস্যপদ নবায়ন ও দ্বিতীয় বারের মতো নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু হবে। এরই মধ্যে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সফল হলে নকলা প্রেস ক্লাবের উন্নয়ন মূলকত কর্মকান্ড আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আসুন উপজেলায় কর্মরত বস্তুনিষ্ঠ লেখক সাংবদিক সবাই এক ছাদের নিচে অবস্থান নেই। তাতে আপনার-আমার সবার মঙ্গল। অন্যরা আমাদের নিয়ে তামাশা করার সুযোগ পাবেন না। সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা কোন তামাশার ব্যক্তি বা পেশা নয়। সাংবাদিকগন জাতির দর্পণ হিসেবে পরিচিত ও যেকোন রাষ্ট্রের চতুর্থ শক্তি হিসেবে খ্যাত। এটা মাথায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারুরণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে আমরা বদ্ধপরিকর। তারুণ্যের জয় ধীরগতিতে হলেও হয়, এই শ্লোগানকে ধারন করেই পথ চলা উচিত। এর ফলে আমরা হবো অধিক শক্তিশালী, দেশ-জাতি কিছুটা হলেও আমাদের দ্বারা উপকৃত হবেন।

নকলা প্রেস ক্লাব আমাদের সকলের অহংকারের জায়গা; অতএব এর মর্যাদা সমুন্নত রাখার দায়িত্বটাও আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ও নিষ্ঠার সহিত পালন করতে হবে। আমরা নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করলে ক্লাবের প্রতিটি সদস্য হয়ে উঠবো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে। নকলা প্রেস ক্লাবের মর্যাদা বৃদ্ধি মানেই আপনি-আমি মর্যাদাশীল কোন প্রতিষ্ঠানের একজন মর্যাদাবান দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্থ একজন ব্যক্তি। তাই নকলা প্রেস ক্লাবের মর্যাদা সমুন্নত রাখাই হোক আমাদের মবার অঙ্গীকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তারুণ্যের শক্তিকে ধারন করে সঠিক পও সুপথে চলে নিজে সুস্থতার সহিত ভালো থেকে, অন্যকে ভালো রাখার প্রত্যয়ে সবাই সুস্থ্যতার সহিত সুন্দর সুখী জীবন যাপন করুন, এই প্রত্যাশা করছি।

নকলা প্রেসক্লাব পরিবারের পক্ষে
‘প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি’
নকলা প্রেস ক্লাব
নকলা, শেরপুর।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন