Home » শেরপুরে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ৫জন নিহত: আহত ৩০

শেরপুরে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে ৫জন নিহত: আহত ৩০

by desherpotrika
60 views

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রোববারে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন প্রশাসনের গাড়িচাপায় এবং দুজন নিহত হয়েছেন গুলিতে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আন্দোলনকে ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহরের বাগরাকসা মহল্লার বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা ও কলেজ শিক্ষার্থী জেলা সদরের পাকুড়িয়া চৈতনখিলা এলাকার মাহবুব আলম (২১), ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া এলাকার শারদুল আশীষ সৌরভ (২২), শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া এলাকার সবুজ হাসান (২০) এবং জেলা সদরের মিম আক্তার (১৮)। তাঁরা সবাই শিক্ষার্থী।

বিকেল ৩টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা শহরের খোয়ারপাড়, শেরপুর সরকারি কলেজ গেইট ও খরমপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে খরমপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের টহল গাড়ি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় চাপা দিলে কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরপর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান মিম আক্তার ও সবুজ। পরে গাড়িচাপায় নিহত তিনজনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হতাহতের পর উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এর মধ্যে পুলিশ সুপারের বাসভবন, সিভিল সার্জনের বাসভবন, পুলিশ সুপার শপ, খোয়ারপাড় পুলিশ বক্স, সদর থানা, আনসার ক্যাম্প, ফায়ার সার্ভিসসহ জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, আলীশান রেস্টুরেন্টে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। হতাহতের পর থেকেই আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে শহরে চলে আসায় পুরো শহর তাঁদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এসময় আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরে চরম থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন