Home » নকলায় আরও ১০ ভিক্ষুক পেলেন ‘বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থা’

নকলায় আরও ১০ ভিক্ষুক পেলেন ‘বিকল্প কর্মসংস্থান ব্যবস্থা’

by desherpotrika
54 views

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভিক্ষুক মুক্ত শেরপুরের নকলা গড়ার প্রত্যয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে আরও ১০ জন ভিক্ষুককে মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দেওয়া হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এই দোকানঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। এর আগে গত ২০ মার্চ ৫ ভিক্ষুককে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসব উপহার তুলে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট একেএম মাহবুবুল আলম সোহাগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন। এসময় জেলা পরিষদের সদস্য সানোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হামযা কনক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাকী আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা সহকারি সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিনগন, যায়যায়দিনের সাংবাদিক শফিউল আলম লাভলুসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

রেহারচর গ্রামের উপকারভোগী মনোয়ারা বেগম ও পাচকাহনিয়া গ্রামের ফুলজান বলেন, আমি কোন কাজকর্ম করতে পারি না। তাই ১০ বছর যাবৎ ভিক্ষাবৃত্তি করে ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে হাত পেতে নিয়ে কোনমতন সংসার চালাইতাম। এখন স্যারেরা মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দিয়েছে। এখন আর ভিক্ষা করার কোনো ইচ্ছে নেই।’ ব্যবসা করে সংসার চালাব।
জালালপুর এলাকার উপকারভোগী বেগম ও কবুতরমারির সিরাজ আলী বলেন. আমরা ৮/১০ বছর ধরে ভিক্ষা করি। এখন আর তেমন ভিক্ষা করতে পারি না। আামরাও মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার পেয়েছি। তবে আজকের পর থেকে আর ভিক্ষা করব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, ‘সরকারের একটি লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসা। মহান স্বাধীনতার মাসে ৫জন ভিক্ষুককে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। আজ আরো ১০জন ভিক্ষুককে মালামালসহ মনোহারি টিনের দোকান উপহার দেওয়া হলো। এসব দেওয়ার উদ্যেশ্য হলো যাতে তারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আসতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন