Home » নকলায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-১

নকলায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-১

by desherpotrika
1075 views

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেরপুরের নকলায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিকের উপর হামলার ঘটনায় চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী ও তার ছেলে মোয়াম্মেল হোসেন রাজীবসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে নকলা থানায়। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় ৩নং আসামী শফিক খান (৪৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধা অনুমান সারে ৭টার দিকে উপজেলার নারায়নখোলা মধ্যবাজার  এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানাযায়, চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী ও তার ছেলে মোয়াম্মেল হোসেন রাজীবসহ শফিক খান গংরা দীর্ঘনিদন যাবৎ ব্রক্ষ্মপুত্র নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে রাতের আধারে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। সোমবার রাতে ব্যবসায়ী রফিকসহ মতিউর রহমান ও খলিলুর রহমানরা বালু কাটতে নিষেধসহ বালুর গাড়ী আটক করে ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী রফিককে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী ও তার ছেলে মোয়াম্মেল হোসেন রাজীব, স্থানীয় শফিক খানসহ সঙ্গীয়রা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী রফিকসহ স্থানীয়রা মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ মানববন্ধন করলে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হওয়ার সম্ভাবনা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয়রা মানবন্ধন করা থেকে বিরত থাকে।

সন্ধা সারে ৭টার দিকে ব্যবসায়ী রফিকসহ আলম মিয়া ও ঝিম মিয়া চা খাওয়ার উদ্যেশে নারায়নখোলা মধ্যবাজার বটগাছের নিচে আধাপাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্রই ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীর হুকুমে তার ছেলে রাজিবসহ সঙ্গীয়রা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা করে। এঘটনায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিক, আলম মিয়া, ঝিম মিয়া ও আব্দুল্লাহ সাজিদ গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা সেখান থেকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। রফিক ও আলমের আঘাত আশঙ্খাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। অপর দুই ব্যক্তিকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মুঠো ফোনে মামলার বাদী ও আহত ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, সোমবার রাতে আমরা একটি অবৈধ বালুর গাড়ী আটক করে ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে জানাইলে সেই ক্ষোভে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী ও তার ছেলে মোয়াম্মেল হোসেন রাজীব, স্থানীয় শফিক খানসহ সঙ্গীয়রা আমাকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমি বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার বিকেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটতে পারে জেনে মানবন্ধন করা থেকে বিরত থাকি। পরে আমি আলম মিয়া ও ঝিম মিয়া চা খাওয়ার উদ্যেশে নারায়নখোলা মধ্যবাজার বটগাছের নিচে আধাপাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্রই ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানীর হুকুমে তার ছেলে রাজিবসহ সঙ্গীয়রা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা করে। আমি এ সংক্রান্তে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

মুঠো ফোনে চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন, নারায়নখোলা মধ্যবাজারের বটগাছের নিচে আমরা বসে থাকা অবস্থায় রফিকসহ তার সাথে থাকা লোকজন আমাদের উপর উত্তেজিত হয়ে যায়। তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে আমাদের উপর হামলা করে। তাদের ফিরফার করতে গিয়ে আমিও ডান হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই। কে কাকে কিভাবে মেরেছে তা আমি বলতে পারব না। আর বালুর বিষয়ে আমিসহ আমার পরিবারের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা যা বলেছে পুরোপুরি মিথ্যা বলেছে। তাদের উদ্যেশ্য ছিল আমার উপর হামলা করার। আমাদের উপর হামলাসহ থানায় মিথ্যা একটি মামলাও করেছে।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, নারায়নখোলার মারামারির ঘটনায় রফিক বাদী হয়ে ১৭জনকে আসামি করে একটা মামলা করেন। আমরা ইতিমধ্যে মামলার ৩নং আসামিকে গ্রেফতার করেছি। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন