স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ধদিন যাবৎ লেগে থাকা তিন প্রজন্মের বিরোধ নিরসন করে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হলেন শেরপুরের নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি যোগদানের পর থেকেই আইন শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রনসহ বিভিন্ন চুরি রোধেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে জানাগেছে। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীসহ গরুচোর চত্রের তিন সদস্যকে গরুসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে চোর আতঙ্ক নিয়ন্ত্রনের রেখেছেন।
জানাযায়, নকলা পৌরসভাধীন কলাপাড়া এলাকার শতবর্ষী বৃদ্ধ ছোবাহান ফকির লাঠিতে ভর দিয়ে গুজো হয়ে হলেও এখনো একাই চলার চেষ্টা করেন এবং সংসার চালান। সাংসারিক প্রয়োজনে এক সময় ব্যাংক থেকে লোন নেয়, সেই লোন সুদে আসলে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা। জমি বিক্রি করে ব্যাংক লোন পরিশোধ করার জন্য প্রায় ৬৫ বছরের ছেলের কাছে তার টাকা জমা রাখে। কিন্তু সাংসারিক প্রয়োজনে ছেলে সেই টাকা খরচ করে ফেলে। অপর দিকে ৩৬ বছরের প্রতিবন্ধী একটি নাতি। তার সাথেও ছেলের টাকা নিয়ে ঝামেলা। এই ত্রিমুখী ও তিন প্রজন্মের সংকট নিয়ে শতবর্ষী ছোবহান ফকির হাজির হন নকলা থানার ওসি কাদের মিয়ার কাছে।
ওসি কাদের মিয়া বিষয়টি গুরুত্বরে সাথে নিয়ে সেবা প্রার্থী শতবর্ষী বৃদ্ধার কথা মনযোগ দিয়ে শুনেন এবং পরিবারের অন্যান্যদের থানায় ডাকেন। পরে পরিবারের সবাই থানায় হাজির করে আলোচনার মাধ্য দিয়ে তিন প্রজন্মের মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেন এবং শতবর্ষী বৃদ্ধার ব্যাংক লোন পরিশোধ এর ব্যাবস্থা করা হয়। পরিবারের অন্যান্য কিছু সমস্যারও সমাধান করা হয়।
শতবর্ষী বৃদ্ধ ছোবাহান ফকির বিষয়টির সমাধান পেয়ে আবেগে কেঁদে দিয়ে বলেন, আমার বিদায়ের শেষ বেলায় আমি সুন্দর একটি সমাধান পেয়েছি। অনেকদিন যাবৎ আমি সমস্যটি নিয়ে ভোগতেছি। অনেকের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। পরিশেষে আমি পুলিশের সহযোগিতায় সমাধান পেলাম।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, আমরা পুলিশ জনগনের জন্য। তাদের জান ও মালের নিরাপত্তার জন্যই আমরা সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছি। এই বৃদ্ধার সমস্যাটার সমাধান করে দিতে পেরে আমারও খুব ভাল লাগছে। সাধারণ মানুষ রাতের বেলায় শীতের মধ্যে লেপ-কম্বল মুড়িয়ে ঘুমায়। আমরা রাত জেঁগে রাস্তায় থাকি। একমাত্র দেশের মানুষকে ভাল ও নিরাপদে ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য। পুলিশ জনগনের বন্ধু। আমরা ২৪ ঘন্টা নন-স্টপ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা চাই।