তৌহিদুল ইসলাম তালুকদার লায়নর, স্টাফ-রিপোর্টার: জয়পুরহাটের কালাইয়ে রাতের আঁধারে নিজ বাড়িতে সৈয়দ আলী আকন্দ (৭৫) নামে এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধের পরিবারের দুই সদস্যকে প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে কালাই থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার পুনট ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ডে শিকটা উত্তর পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। নিহত বৃদ্ধ সৈয়দ আলী আকন্দ ওই গ্রামের মৃত মুতরাজ আলী আকন্দের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সৈয়দ আলী আকন্দ স্ত্রী মৃত্যুর পর একাই নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। দুই ছেলে তাদের পরিবারকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন। অন্য ছেলে ঢাকায় বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের বাড়িতে খাবার খেয়ে সৈয়দ আলী নিজ বাড়তে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ শুক্রবার ভোরে নিহত সৈয়দ আলী আকন্দের বড় ছেলে বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা আর ঐই বৃদ্ধার গলাকাটা মরদেহ খাটের উপরে পরে আছে। এসময় ছেলের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন-ওই বৃদ্ধাকে কে বা কাহারা গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে ¯’ানীয় মেম্বার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।।
সৈয়দ আলীর বড় ছেলে তৈয়ব আলী জানান, আমরা অন্য ¯’ানে বাড়ি করে বসবাস করছি। আমার বাবা নিজ বাড়িতে একা বাসবাস করতেন। আজ ভোরের দিকে আমাদের জমিতে সার দেওয়ার জন্য বাবার বাড়িকে এসে দেখি বাবার বাড়ির মূল দরজা খোলা পাই, পবে বাবা যেখানে থাকত সেখানে গিয়ে দেখি বাবাকে কে বা কাহারা গলা কেটে হত্যা করেছে।
সৈয়দ আলীর মেজ ছেলে মো.নাজমুল জানান, আমার বাবা প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ধান আবদ করে। গোয়াল ভরা বিদেশি গরু আছে। এবার ধান বিক্রি করে আমার বাবার কাছে নগদ প্রায় ৮ লাখ টাকা ছিলো। তিনি কোন ব্যাংকেই টাকা রাখতে না। আমার বাবা’র কোন শত্রæ নেই। তবে বাবাকে কেন হত্যা করেছে তা আমরা জানা নেই।
উপজেলার পুনট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডেও মেম্বার মো.মোর্শেদ হক বলেন, আজ সকালে ফোনে জানতে পারলাম, সৈয়দ আলী আকন্দ’কে কে বা কারা খুন করেছে। পরে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যা ও কালাই থানায় জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এবিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওয়াসিম আল বারী বলেন, উপজেলার পুনট ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ডে শিকটা উত্তর পাড়া এলাকায় সৈয়দ আলী আকন্দ’কে হত্যার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনা¯’লে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠনো হয়েছে। ওই বৃদ্ধার পরিচিতজনেরা তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করল কি না, তা এখনই বলা যা”েছনা। কেন এই হত্যাকান্ড, তার জট খুলতে পুলিশ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বড় ছেলে তৈয়ব আলী ও মেজ ছেলে নাজমুল’কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
