Home » স্কুলের নামে প্রতারণা, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

স্কুলের নামে প্রতারণা, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

by desherpotrika
184 views

হামিদুর রহমান অভি, নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় স্কুলের শিক্ষক হতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন দুই শিক্ষিকা।

ভুয়া স্কুল খুলে চাকরি দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে টাকা। স্কুলের অনকাঠামোও নির্মাণ করা হয়েছে তাদের টাকায়। নামসর্বস্ব স্কুলটি এক পর্যায়ে স্কুল বন্ধ হওয়ায় তারা এখন নিঃস্ব।

কয়েকমাস আগে স্কুলের জায়গা সরকার হর্টিকালচারের জন্য অধিগ্রহণ করে। তবে অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দের টাকাও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতারা তাদের দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ওই দুই শিক্ষিকা।

জেলা সদরের চল্লিশা ইউনিয়নের নুরপুর হিরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নয়ন দত্ত ও বাঁধন দত্তের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
ওই স্কুলের দুই শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম ও রুবী আক্তার স্কুলে নিয়ে এমন প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সদরের নুরপুর হিরেন্দ্র চন্দ্র দত্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে স্কুল প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রতারণার বিষয়টি তুলে ধরেন।

এসময় তারা অধিগ্রহণকৃত স্কুলের অবকাঠামো বাবদ ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ তাদেরকে দেওয়ার জন্য দাবি জানান ওই স্কুলের দুই শিক্ষিকা।

এরআগে গত ১২ আগস্ট স্কুলের অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ তাদের দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অনিমেষ সোমের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তারা।

স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নয়ন দত্ত ও বাঁধন দত্ত জেলা সদরের নুরপুর গ্রামের মৃত হিরেন্দ্র চন্দ্র দত্তের ছেলে।

ক্ষতিগ্রস্ত দুই শিক্ষিকা জানান, ২০১৬ সালে জেলা সদরের নুরপুর গ্রামে নয়ন দত্ত ও বাঁধন দত্ত তাদের বাবার নামে নিজেদের ৩৩ শতক জায়গায় বেসরকারিভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। আমরা দুইজন ওই জমিতে মাটি ভরাট, অবকাঠামো নির্মাণ ও আসবাবপত্র দিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই। সেই সাথে নগদ টাকাও দেই তাদের। নয়ন দত্তের স্ত্রীকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক করা হয়। স্কুলটি দুই-তিন বছর চালু থাকার পর বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলের জায়গা চলতি বছরের শুরুতে স্কুলের পাশে প্রতিষ্ঠি হর্টি কালচার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকার। পরে জানতে পারি স্কুলের জায়গা নিয়ে দাতারা প্রতারণা করেছেন। এটা আসলে স্কুলের জায়গা নয়। সরকারিভাবে অবকাঠামো ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেটাও দাতারা মেরে দিতে চাইছে। অবকাঠামো আমরা করেছি, ক্ষতিপূরণ আমাদেরই প্রাপ্য। কিন্তু জমি দাতারা আমাদের অবদান অস্বীকার করে অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ আত্মসাৎ করতে চাইছে।

এ বিষয়ে সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন মিয়া বলেন, ওই দুইজন নারী স্কুলের ঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র ক্রয়সহ সব করেছে। অথচ প্রতিষ্ঠাতারা জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের টাকা সবটাই নিয়ে নিতে চাইছে। এটা অন্যায়। আমরা এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাই। অবকাঠামো ক্ষতিপূরণ ওই দুই নারী শিক্ষকেরই প্রাপ্য।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নয়ন দত্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই দুই শিক্ষিকা স্কুলের অবকাঠামো নির্মাণ করেননি। তাই ক্ষতিপূরণের টাকাও তারা পাবেন না।

অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অনিমেষ সোম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিয়োগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন