Home » নৌকার মাঝি হতে বত্রিশ বছর যাবত অপেক্ষায় মুজিব সৈনিক জুবেরী

নৌকার মাঝি হতে বত্রিশ বছর যাবত অপেক্ষায় মুজিব সৈনিক জুবেরী

by desherpotrika
113 views

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি: মুজিব আদর্শের সৈনিক ইফতেখার হোসেন কাফি জুবেরী। আশির দশকের তুখোর ছাত্র নেতা। শুধু তাই নয় নব্বইয়ের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। ৭৫ পরবর্তী সময়টাতে আওয়ামীলীগের নাম নিতে অনেকেই ভয় পেতেন। সেই সময়েই তিনি বুক ফুলিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার খবর শুনে তার হাত থেকে মাংসের টুকরা পরে যায়। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন এ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাছ মাংস খাবেন না। সেই থেকে চৌত্রিশ বছর মাছ, মাংস বর্জন করে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে সেই সময়ে গঠিত সশস্ত্র জাতীয় মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসাবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পর তিনি আনুষ্ঠানিক মাছ মাংস গ্রহণ করেন।

ইফতেখার হোসেন কাফি শ্রীবরদী উপজেলার সওদাগড় বাড়ি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা আব্দুল কাফি সওদাগড় ছিলেন শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। জন্মগতভাবেই তিনি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার ছোট খালা জামালপুর সরকারি জায়েদা সফি মহিলা কলেজের ইংরেজী প্রভাষক এম টি হোসনে আরা রাঙ্গা। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগের জামালপুর মহকুমা শাখার সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

তিনি দীর্ঘ সময় শেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সভাপতির দায়ীত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন।

মুজিব আদর্শের এই সৈনিক ১৯৯১ সাল থেকে ১৪৫, শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়ে আসছেন। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়েও তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ লক্ষে তিনি বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে তোলে ধরছেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও ৪১ সালের ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।

বুধবার তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি জন্মগতভাবেই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আওয়ামী রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি ১৯৯১ সাল থেকে শেরপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়ে আসছি। মনোনয়ন না পেয়েও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানেও আমি নৌকার মনোনয়ন জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ আমাকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দিবে। আমি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিবো।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন