Home » নকলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনা যেন কৃষি খামার

নকলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনা যেন কৃষি খামার

by desherpotrika
293 views

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: চারিদিকে সবুজের সমরোহ। আঙ্গিনায় আবাদ করা হয়েছে ঢ্যাঁড়শ, পুইশাক, শীম, গাজর, লাউ, ক্যাপসিকাম, ওলকচু, সাজনা, লাল শাক ও পালং শাক। তাছাড়াও রয়েছে আম্রপালী, কিউজাই, ব্ল্যাক স্টোন, গৌড়মতি, সূর্যডিম, বারি আম-৪, বারি আম-১১ জাতের আমগাছ। এছাড়াও ভবনের এক পাশে করা হয়েছে বস্তা আদা চাষ। এ ভাবেই শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে কৃষি অফিসের আঙ্গিনা পরিণত হয়েছে কৃষি খামারে।

চরকৈয়া গ্রামের কৃষক ফরিদুল বলেন, আমি উপজেলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনার শাক-সবজি চাষাবাদ দেখছি। এখানে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। সবজি উৎপাদনে অর্গানিক সার ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। সবজির ফলনও ভালো। তাই ভবিষ্যতে আমরা এ সবজির আবাদ বৃদ্ধি করব। কুর্শা গ্রামের কৃষক লিয়াকত বলেন, কৃষি অফিসের আঙ্গিনা সবুজে সেঁজেছে। সেই সাথে এখানে শাক-সবজি ফলানো হচ্ছে। বাইরে থেকে একটি আদর্শ কৃষি খামারের মতো দেখা যাচ্ছে। শাক-সবজির চাষ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমিও আমার বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জমিতে শাক-সবজির আবাদ শুরু করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মোরসালীন মেহেদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা এখানে মানব দেহের জন্য নিরাপদ ও বিষমুক্ত শাক-সবজি উৎপাদন শুরু করি। আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে দেখে মনে হয় লাল শাক ও পালং শাক লাল-সবুজের গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে। ঢ্যাড়শ, পুইশাক, শীম, গাজর, লাউ, ক্যাপসিকাম, ওলকচু ও আবাদ শুরু হয়েছে। আঙ্গিনায় রয়েছে আম্রপালী, কিউজাই, ব্ল্যাক স্টোন, গৌড়মতি, সূর্যডিম, বারি আম-৪, বারি আম-১১ জাতের আমগাছ। এছাড়াও ভবনের এক পাশে করা হয়েছে বস্তা আদা চাষাবাদ। এখানে উৎপাদিত শাক-সবজি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খাচ্ছেন। নিরাপদ এসব শাক-সবজি খেয়ে তারা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছেন। শাক-সবজি, ফুল ও বৃক্ষরাজিতে কৃষি অফিসের ক্যাম্পাসটি এখন মুখরিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক ইঞ্চিও জায়গা যেন পতিত না থাকে। সেই আহবানে শাক, সবজি উৎপাদনেও পিছিয়ে নেই এই অফিসটি। ফুল ও সবুজ বৃক্ষ শোভা ছড়াচ্ছে। কৃষি অফিস কর্তৃপক্ষ সবজি চাষ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দনে পরিণত হয়েছে। এলাকার মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি দাঁড়িয়ে আছে। আমরা মনে করি এটি আমাদের গর্ব। আমরাও বিভিন্ন মিটিংয়ে পতিত জমি যেন কৃষকরা ফেলে না রেখে আবাদ করেন সেই পরামর্শ দেই এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এসব বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। প্রয়োজনে কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে।

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনা শাক-সবজি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। এখানে উৎপাদিত সবজি নিরাপদ। এটি খেয়ে ওই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছেন। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি অনুকরণ করে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া ওই এলাকার অনেক কৃষক বিষমুক্ত নিরাপদ শাক-শবজির চাষাবাদ গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন