Home » কুবিতে জুনিয়রকে রুমে ডাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের হাতাহাতি

কুবিতে জুনিয়রকে রুমে ডাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের হাতাহাতি

by desherpotrika
69 views

আবু শামা, কুবি প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের রুমে ডাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায় ১৫তম আবর্তনে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১টায় হলের ২০৯ নাম্বার রুমে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‘১৫ তম আবর্তনের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ২০৯ নাম্বার রুমে মিটিংএ বসে। মিটিংএ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইটি পক্ষে বিভক্ত ছিলো। একটি পক্ষের ইমতিয়াজ আহমেদ চিন্ময়, গোলাম দস্তগীর, হাসিব হাসান, রাজু মিয়াজি ও ফয়সালের সাথে, অপর পক্ষের আকাশ রাজ বংশী, সোহাগ চৌধুরী, আশিকুর রহমান এবং সাদির আহমেদের বাক-বিতন্ডা হয়। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে ফয়সাল সাদিরকে ঘুষি দেয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের চলাকালীন হলে অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা এসে তাদের থামায়। এবং দুই পক্ষকে বিচারের জন্য ৫০৭ নাম্বার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশের উপস্থিতিতে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়।

কেনো মিটিংএ বাক-বিতন্ডা এবং পরে সংঘর্ষ বাধে এ বিষয়ে এক পক্ষের ২০৯ নাম্বার রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহাগ চৌধুরী জানায়, আমরা ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদেরকে রুমে (২০৯) খিচুড়ি খাওয়ার জন্য ডাকি। কিন্তু তাদের আটকে ১০৯ নাম্বার রুমে ১৫তম আবর্তনের হাসিব, ফয়সাল, রাজু, চিন্ময়, দস্তগীর কথা বলতে থাকে। পরে আমরা তাদের রুম(১০৯) থেকে আমাদের রুমে খাওয়ার জন্য ডেকে আনি। খাওয়ার পর আমরা ১৫তম আবর্তনের সবাই মিলে রুমে (২০৯) মিটিংএ বসি । মিটিংএ জুনিয়রদের রুম থেকে ডেকে আনা নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয় ফয়সাল, রাজু, চিন্ময়, হাসিব ও দস্তগীর। তর্কের এক পর্যায়ে ফয়সাল সাদির কে ঘুষি দেয় এবং বাকিরাও আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম হয়।

তবে অপর পক্ষের শিক্ষার্থী হাসিব হাসান বলেন, আমরা ১০৯ নাম্বার রুমে ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে যায়, এসময় সাদির, আকাশ এবং সোহাগ দরজায় লাথি দিয়ে ঢুকে, জুনিয়রদের সামনে আমাদের সাথে দূর ব্যবহার করে। পরে আমরা তাদের রুমে মিটিংএ বসলে দূর ব্যবহারের কারণ জানতে চাই। তখন তারা ক্ষীপ্ত হয় এবং আমাদের মেরে বের করে দেয়।

সংঘর্ষের বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, “আজকের সংঘর্ষের ঘটনা এক দিনে ঘটেনি। অনেকদিন থেকে হলের ১৫তম আবর্তন শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত। আধিপত্য বিস্তারে ১৬ আবর্তনের জুনিয়রদের হাত করতে তাদের মধ্যে রেশারেশি হতে থাকে। তার দরুন আজকে এ সংঘর্ষ।

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মিহিরলাল ভৌমিক বলেন, “আমি এ বিষয়ে জানিনা, খবর নিয়ে জানাবো।”

এ বিষয়টি কিসের ভিত্তিতে সমাধান করা হয়েছে বিষয়ে জানতে নাজমুল হাসান পলাশের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন