Home » সরকারি গাড়ী নিয়ে কেন্দুয়ায় প্রাইভেট রোগী দেখেন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা!

সরকারি গাড়ী নিয়ে কেন্দুয়ায় প্রাইভেট রোগী দেখেন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা!

by desherpotrika
87 views

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ গাড়িটি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। কিন্তু সেই গাড়ি নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলার আল-মন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট রোগী দেখেন মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান।

মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে গাড়িটি নিয়ে কেন্দুয়ার আল-মন ডায়াগনস্টিক প্রাইভেট সেন্টারে সামনে রেখে ভিতরে রোগী দেখছেন তিনি।

জানা গেছে, নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটি গাড়ি বরাদ্দ দেয় সরকার। বছরে ছয় থেকে সাত মাস খালিয়াজুড়ি উপজেলার সমস্ত রাস্তা পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। তাই খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। সেই সুযোগে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূরুল হুদা খান খালিয়াজুড়ির গাড়িটি নিয়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে কেন্দুয়া উপজেলায় যাতায়াত করেন।

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান সাংবাদিকদের জানান, খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ি ও চালক মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে। তাই সিভিল সার্জন মহোদয় ও খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেই গাড়িটা আমি ব্যবহার করি। মদন থেকে কেন্দুয়া উপজেলা মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে থাকায় মাঝে মধ্যে আমি গাড়িটা নিয়ে যাই। একটা সিস্টেমেই গাড়িটা ব্যবহার করা হয়।’

এ ব্যাপারে খালিয়াজুড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসানুল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান,’ আমার উপজেলার রাস্তায় ছয় থেকে সাত মাস পানি থাকে। সেই সময়টায় গাড়িটি মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখতে হয়। কিন্তু গাড়িটি দিয়ে মদন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যাতায়াত করেন তা আমার জানা নেই। গাড়িটি কিভাবে কেন্দুয়া উপজেলায় গেল সে বিষয়ে গাড়ির চালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।’

নেত্রকোনার সিভিল সার্জন সেলিম মিয়া জানান, ‘ খালিয়াজুড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িটি মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়। কিন্তু সেই গাড়ি দিয়ে প্রাইভেট চেম্বার করার কোন নিয়ম নেই। সরকারি গাড়ি নিয়ে যদি প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে থাকে তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য : দেশের ২৮০ জন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা জিপ গাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশন প্লানের ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ২৮০ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে একটি করে এই জিপ বরাদ্দ প্রদান করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

এর মধ্যে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি জিপ গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন উপসচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে এতে বলা হয়, বরাদ্দকৃত জিপ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বরাদ্দকৃত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জিপ সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে পরিচালক (ভান্ডার ও সরবরাহ) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডাইরেক্টরকে (কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার) নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

x
error: কপি করার অভ্যাস ত্যাগ করুন নিজে লিখতে শিখুন