স্টাফ রিপোর্টার: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার চাঞ্চল্যকর কিশোরী অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ৯ বছর আত্মগোপনে থাকা ২৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত কাশেম ও আমের আলীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। কাশেম শ্রীবরদী উপজেলার ছনকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার সুরুজ আলীর পুত্র ও আমের আলী শমসের আলী পুত্র। শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলার ছনকান্দা ব্যাপারীপাড়া এলাকা হতে সাজাপাপ্ত পলাতক আসামী কাশেম’কে ও সদর উপজেলার খোয়ারপাড় এলাকা হতে রাতে মো. আমের আলী’কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ভিকটিম একজন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী। ২০১৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী কাশেম ও আমের আলী ভিকটিমের বাড়ীতে বাসা ভাড়ার জন্য আসে। একই দিন ভিকটিম তার নানা বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তারা দুজন পিছু নেয়। ভিকটিম তার নানা বাড়ীর কাছাকাছি মুন্সিপাড়া জনৈক আজাদ এর বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তায় পৌছা মাত্রই কাশেম ও আমের আলী ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণসহ ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের পরিহিত উড়না দ্বারা মুখ বেধে অটোরিক্সা দিয়ে কর্ণজোড়া রাস্তায় নিয়ে যায়। পরে কুলগাও পাহাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা কামরুজ্জামান বাদী হয়ে তাদের নামে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আখতারুজ্জামান ২০২১ সালের ২৩ মার্চ কাশেম ও আমের আলীকে ২৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
ঘটনার পর থেকেই তারা ৯ বছর আত্মগোপনে ছিল। জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা’র উপস্থিতিতে র্যাবের একটি অভিযানিক শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করেন। ধৃত আসামীদের শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানাগেছে।